Some people are by born Lucky, may be Im one of them

ঘড়িতে সারে নয়টা, আমি বাসে, আজিমপুর থেকে উঠেছি, আজমপুর নামব। আমার বন্ধু রাজু। তার এক রিলেটিভ এর বাড়িতে যাবো। রওনা দিতে দিতে সন্ধ্যা হয়ে গেছে।

পাশের ভদ্রলোককে বার বার জিজ্ঞাসা করছি, লোকটি করডিয়াল, আমাকে বলল, আজমপুর এলে আমি বলবো, এর মাঝে কিছুক্ষণ ঘুমিয়েও

নিয়েছি। যাহোক একসময় বাস থেকে নামলাম।

এখন রিক্সা নিতে হবে। রাজুর  এই ডিরেকশান। রিক্সা দিয়ে দাদা গার্মেন্ট এ যেতে হবে। রিক্সায় উঠলাম, রিক্সাওয়ালা  কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বুঝলাম না। আস্তে আস্তে রাস্তার আলো কমে আসছে। কিছুক্ষণ পর পুরোপুরি অন্ধকার।

আন্টি(রাজুর আম্মু) কে ফোন দিলাম। কথা বলে শুনতেছিলাম দাদা গার্মেন্ট থেকে এর পর কোথায় যাবো। ঠিক তখনি মোবাইলটা অফ হয়ে গেল। চার্জ শেষ। কোন ভাবেই ওইটাকে স্টার্ট করতে পারলাম না।  এখন কি করি।

রিক্সা দাদা গার্মেন্ট এর সামনে এসে দাড়াল, তাকে বললাম আসে পাশে কোথাও ফোন ফ্যাক্স এর দোকান আছে কিনা।  সে বলল নেই, যেখান থেকে আমাকে তুলে এনেছে সেখানে ছাড়া।  এখন দুইটা উপায়, এক ব্যাকট্র্যাক করা অথবা একটা রিস্ক নেয়া। রিক্স নিলে ক্ষতির আসংখ্যা একটু বেশি, আমার সংগে লেপটপ, মোবাইল এবং কিছু টাকা। ল্যাপটপ খুয়া গেলে আমার তখন ঠিক বেচে থাকার ইচ্ছে টা চলে যাবে। কারণ এতে যা আছে তা তার হার্ডওয়ার যা দাম, তার চেয়ে কয়েকগুণ ভ্যালুয়েবল জিনিস আছে।  দাদা গার্মেন্ট এর সামনে দুজন দাড়োয়ান ছিল, তাদের কাছে নকেয়া মোবাইল সেট আসে কিনা জিজ্ঞাসা করলাম, নেতিবাচক উত্তর।  কি করবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না।

রাজুর নাম্বার আমার মনে নাই, রাজু যে এড্রেস দিয়েছিল তা আমার মোবাইল ইনবক্সে। যার বাসায় যাচ্ছি তার নাম পর্যন্ত  জানি না।

একটা লোক এসে দাদা গার্মেন্টস এর সামনে এসে দাড়ালো। তাকে সেইম প্রশ্ন করলাম, নকিয়া মোবাইল আছে কিনা। থাকলে তার ব্যটারী ধার নেবো এইটা উদ্দেশ্য। কিন্তু আবারও নেচিবাচক উত্তর।

লোকটা যথেষ্ঠ দয়াবান, আমাকে তার ফোনটা দিয়ে দিল। আমি বললাম, আমি কি আমার সিমটা আপনার মোবাইল এ ইউস করতে পারবো কিনা। সিউর।

আমি সিম ভরলাম। কিন্তু অবস্থা খারাপ হলে অনেক কিছুই কাজ করে না। আমার সিম এ অনেক্ষণ চেষ্টা করেও নেটওয়ার্ক পেলাম না।  লোকটি এবার বলল, নাম্বারটি লিখে নিন, আমার মোবাইল দিয়ে ফোন করেন।

নাম্বার লিখে নিবো কোথায়। কাধব্যগে অনেক খোজাখুজির পর একটা পেন্সিল পেলাম। সেটা দিয়েই লিখলাম।

লোকটি তার মোবাইল এ তার সিম ভরলো, এবং রাজুর নাম্বারে ডায়াল করার পর বুঝতে পারলাম ডিজিট একটা কম লিখেছি। তারপর একটা লোপ চললো, যতক্ষণ পর্যন্ত  মোবাইল নাম্বার ঠিক না হবে মোবাইল খোলা এবং আমার নতুন করে ভরা।

শেষ পর্যন্ত রাজুকে পেলাম।  কিন্তু রাজু যেভাবে বলল, তা আমার বোধগম্য হলো না। কিছুই বুঝলাম না , কিভাবে কোথায় যাবো।  পাওযার নাই, কিছুই দেখছি না। তারপর আর কি, এই গ্র্যাট ম্যন আমাকে পথ দেখিয়ে পুরা আধঘন্টা আমার সাথে থেকে বাসা খুজে দিয়ে ফিরে গেল। আমি তাকে অনেক অনেক থ্যাংকস দিলাম।  তার নাম্বারটা রেখে দিলাম। লোকটি উত্তরা এগারতে একটা কলসেন্টারে জব করেন, বিডিয়ার এ ছিল । তার দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। বড়ে মেয়ে এইবার এসএসিতে এ+ পেয়েছে। ওনার নাম আক্তার হোসেন।

বাসায় এসে চিন্তা করলাম, কাজটা খুব বেশি কি রিস্কি হয়ে গিয়েছিল। ওনি যেসব গলি এবং শর্টকাট দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, তাতে করে কোন একসময় যদি বলতো সবকিছু রেখে যেতে আমার কিন্তু করার কিছু ছিল না।

আইম রিয়েলি গ্রেটফুল টু হিম।

আজ সকালে তাকে ফোন দিয়ে আবার থ্যাংকস জানালাম।  উনি বলল, আর ভাই মানুষ মানুষের ই তো উপকারে আসে তাই না।

I’m feeling lucky  that I always meet with such great man. All the people around me, are really really  great.

4 thoughts on “Some people are by born Lucky, may be Im one of them

Titas এর জন্য একটি উত্তর রাখুন জবাব বাতিল